Offbeat Kashmir Trip (May - June 2022) - Part 3 : Srinagar To Gurez
Near Ghat No 18 |
Floating through backwaters of Dal |
Stopping for shopping |
Checking out the Shawls |
Floating around |
4+ bedroom houseboat |
Wood Furniture shop |
Birds of Dal |
Vegetation on the Dal Lake |
Flower shop in a boat |
Towards Bandipora |
Wular Lake |
Wular Lake |
Entry Check post @ Bandipora |
Wular Lake |
Razdaan Pass |
Razdaan Paas |
On way to Raazdan Pass |
Cloud Cover near Razdan Paas |
Dinning table @ Pine Tree |
1st Floor seating area@ Pine Tree |
View from our Room - Habba Khatoon covered in clouds after Rain |
Habba Khatoon facing Room @ Pine Tree |
রাতের ডিনার
- শিকারা রাইড নেবেন ঘাট #১৮ বা তার থেকে কম নম্বরের (#১৭, #১৬ )ঘাট থেকে। এখন থেকে সব আসল পয়েন্টসগুলো ( মীনা বাজার, নেহরু পার্ক ) কাছে তাই বোট রাইডের দাম তুলনামূলক ভাবে কম হবে। আবার যদি চার চিনার যেতে চান তাহলে দূরের ঘাটগুলো থেকে কাছে হবে (#২১ এর পরের গুলো )।
- শিকারা রাইড দিনের সবসময়েই আলাদা অভিজ্ঞতা দেয়। সকালের রাইডে আপনি অনেক শান্তি অনুভব করবেন যেহেতু হাতেগোনা টুরিস্ট থাকে। সেই সময়টা ব্যাকওয়াটার্স এর অলি গলি দিয়ে ভেসে বেড়াতে দারুনা লাগে এক কাপ গরম গরম কাহওয়ার সাথে । একটু বেলা হয় গেলে জায়গাটা দোকান পাটে জমজমাট হয় ওঠে। আবার পযন্ত বিকেলে ঘুরলে সানসেট এনজয় করতে পারবেন। আর যদি রাতে রাইড নেন তাহলে গোল্ডেন লেক দেখতে পাবেন, আলো ঝলমল মীনা বাজার পাবেন আর পাবেন লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে ডাল লেকের ওপরে ভেসে বেড়ানোর অভিজ্ঞতটা। তাই নিজের ভালোলাগার হিসাবে সময়টা বেছে নেবেন।
- শিকারা চালকের সাথে ভাব পাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন, তাতে ওরা অনেকসময়ে একই ভাড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিট যোগ করে দিতে পারে।
- যেদিন গুরেজ যাবেন সেদিন তাড়াতাড়ি বেরোবেন। যত তাড়াতাড়ি বেরোবেন তত ভাল। চেষ্টা করুন ৮:৩০ এর মধ্যে বেরোনোর তাহলে ৪ টে বা ৪:৩০ নাগাদ পৌঁছে যাবেন গুৱেজ দিনের আলো থাকতে থাকতে। পাহাড়ে অনেক সময়ে বিকেলের দিকে বৃষ্টি হতে পারে তাই তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাওয়াই ভাল। আরো একটা ব্যাপার বেশির ভাগ রাস্তাতেই কিন্তু এখনো ইলেক্ট্রিসিটির ব্যবস্থা হয়নি তাই আলো থাকতে পাহাড়ি রাস্তা কভার করে নেয়া ভাল।
- এর মধ্যে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটের লাঞ্চ ব্রেক নিতে পারেন
- লাঞ্চের জন্য চেষ্টা করবেন বান্দিপোরা বা তার আগে স্টপ নিতে। বান্দিপোরা বেশ বড় শহর, ওখানে কিছু ঠিকঠাক খাবার জায়গা পেয়ে যাবেন প্রপার লাঞ্চ করার জন্যে।
- লাঞ্চ ব্রেকের সময়ে ওয়াশরুম ব্রেকও অবশ্যই নিয়ে নেবেন - বিশেষ করে এটা বলছি মহিলাদের জন্যে। একবার পাহাড় চড়া শুরু হয়ে গেলে বা বান্দিপোরা ছেড়ে বেরিয়ে গেলে, ওয়াশরুম পাবেন না আর।
- বান্দিপোরা এ যদি লাঞ্চ না করেন তাহলে একেবারে ত্রাগবাল এ গিয়ে খাবার জায়গা পাবেন। ওখানে খুব বেসিক স্নাক্স এর দোকান আছে ২-৩ খানা। চা, কফি, বিস্কুট, চিপস, ম্যাগি এইসব জিনিস পাবেন। বসার জায়গা আছে এবং জায়গাটা খুবই সুন্দর লাগবে কিন্তু ওয়াশরুম আছে কিনা জানা নেই।
- বান্দিপোরার পর বেশ অনেকটা ঘাট রোডস আছে - যাদের মোশন সিকনেস আছে তারা বান্দিপোরা পৌঁছানোর আগেই ট্যাবলেট খেয়ে নেবেন। আমি মোশন সিকনেস এর জন্যে ondem বলে একটা ওষুধ খাই, এর কোনো সাইড এফেক্ট আমি পাইনি তবে দরকারমতো ডাক্তার দেখিয়ে খাবেন।
- ঠান্ডার জামাকাপড় হাতের কাছে রাখবেন, অনেক সময়ে যদি রাজদান পাস এ স্নোফল হয়ে তাহলে বেশ ঠান্ডা লাগে।
- আধার কার্ড সবসমই হাতের কাছে রাখবেন এই রুটে। বেশ অনেক গুলো আর্মি চেক পোস্ট আছে যেখানে এন্ট্রি করতে হবে আধার নম্বর দিয়ে।
- এই রুটটা কিন্তু বেশ সেনসিটিভ রুট কারণ এইটা বর্ডার এর কাছে তাই সবসমই নিজেদের ড্রাইভার এর কথানুসারে ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ অযথা বেশি হই হট্টগোল করা, যত্রতত্র ফটো তোলা বা নেমে পড়া, আর্মির কথা না শোনা ইত্যাদি করবেন না। রুলস এন্ড রেগুলেশন গুলো আপনার আমার সুরক্ষার জন্যই আছে সেগুলোর সম্মান করবেন নাহলে বিপদে পড়তে পারেন। হতেই পারে চেক পোস্ট এ আর্মিরা আপনাকে অনেক ডিটেলস জিজ্ঞেস করছে ( সবসমই হবে এমন নয় - আমাদের প্রথম গুৱেজ ট্রিপ এ জিজ্ঞেস করেছিল শুধু দুজন মহিলা দেখে। পরের ট্রিপ এ করেনি ) সেগুলো শান্ত ভাবে উত্তর দেবেন।
- আর্মি চেকপোস্ট যে সব জায়গায় দেখবেন সেখানে ফটো তোলা একেবারে এলাও না। সুরক্ষার কারণে এই রুল। যদি ভাবেন যে লুকিয়ে ফটো তুলে নেবো কেউ টের পাবে না - সেটা কিন্তু করবেন না - অনেক সময়ে আমি দেখেছি ওদের সার্ভিলেন্স ক্যামেরা এমন হয়ে যে বহু ফুট দূর থেকে ওরা লোকেট করে নেয় কে কোথায় ফটো তুলছে নিষিদ্ধ জায়গায়। তারপর এর জন্য আপনি বকা খাবেন এবং ক্যামেরা চেক করে ফটো ওরা ডিলিট করে দেবে। এই সব ঝামেলার মধ্যে তাই না যাওয়ায় ভাল। ( ব্যাপারটা হলো যে চেকপোস্ট যেখানেই আছে সেগুলো অন্যতম সুন্দর জায়গা তাই আপনার ইচ্ছে করবে ক্যামেরা বার করতে কিন্তু তবুও আবারো বলছি করবেন না !)
- চেকপোস্ট এ আপনার ড্রাইভার সাধারণত সব এন্ট্রি করে দেবে আপনার আধার কার্ড নিয়ে গিয়ে, আপনাকে আলাদা করে নামতে হবে না গাড়ি থেকে। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে যদি নামতে হয়ে তাহলে ড্রাইভারের নির্দেশ ফলো করবেন। অযথা গাড়ি থেকে নেমে ঘোরাঘুরি করবেন না যতক্ষণ এন্ট্রি হচ্ছে ততক্ষন টাইমপাস করার জন্য।
- আচ্ছা যদি ড্রোন ওড়াতে চান গুৱেজ এবং আসে পাশের জায়গায় আগের থেকে ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট থেকে চেক করে নেবেন রুলস এর ব্যাপারে পরে নাহলে প্রব্লেম হতে পারে। একই ব্যাপার বড় সাইজের মোশন ক্যামেরার জন্য - আগের থেকে জেনে যাবেন এলাও কিনা। DSLR ক্যামেরার কোনো ইসু নেই।
- আর্মিরা কিন্তু ট্যুরিস্টদের সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করে না, বরং আপনি যদি ভাল ব্যবহার করেন তাহলে অনেক সময়ে ওনারা আপনার সাথে একটু আধটু গল্প ও করতে পারেন। তবে জবরদস্তি করবেন না গল্প করার জন্য, অনেক সময়ে অন-ডিউটি ওনারা গল্প নাও করতে পারেন।
- রাজদান পাস এ আপনি গাড়ি থেকে নামতে পারেন এবং চাইলে ফোটোগ্রাফি করতে পারেন। জায়গাটার নানা মরশুমে নানা রূপ তাই এখানে আলাদা করে ১০-১৫ মিনিট কাটিয়ে এগিয়ে যান।
- ঘাট রোড এ ওঠার পর থেকেই ফোনের সিগন্যাল গায়েব হয়ে যায়, কোথাও কোথাও দুর্বল নেটওয়ার্ক পেতে পারেন।
- রাজদান পাসের পরেই আপনার ডান হাতে পীর বাবার মাজহার পড়বে। আমি বলবো যাওয়ার দিন ওখানে না গিয়ে গুৱেজ থেকে যেদিন ফিরবেন সেদিন ওখানে থেমে ঘুরে আসবেন কারণ তখন ওটা রাস্তার বাম দিলেই পেয়ে যাবেন তাই আর রাস্তা ক্রস করতে হবে না।
- যারা পাহাড়ে ঘুরেছেন তারা জানেন যে পাহাড়ি রাস্তায় ভেড়া, ছাগল ইত্যাদি পশুদের প্রথম প্রেফারেন্স থাকে এগিয়ে যাওয়ার। আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে যদি কোনো পশুপালক এবং তার পশুদের রাস্তা পার হতে দেখেন তো।
- এই পুরো রাস্তায় এতো সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আছে যে আপনার বার বার মনেই হতে পারে দাঁড়িয়ে ফটো তুলি, কিন্তু সেই করতে গিয়ে পরে দেরি হয়ে যেতে পারে তাই সময়ের খেয়াল রাখবেন।
- সাথে কিন্তু জলের বোতল অবশই রাখবেন আর সাথে কিছু ছোটোখাটো স্ন্যাকস, পথে কাজে দেবে।
- গুরেজে আপনি হয়ে মার্কেট এরিয়ার কাছে থাকতে পারেন নাহলে আমি সাজেস্ট করবো একটু দূরে থাকুন যেমন wampora গ্রামে। এখন থেকে মার্কেট গাড়িতে ৭-৮ মিনিট কিন্তু ভিউ বেশি ভাল পাবেন আর গ্রামের আশপাশ ঘুরে দেখতে পারবেন পায়ে হেঁটে সকাল সকাল।
- যদি আপনারা পাইন ট্রি রিসোর্ট এ থাকেন গুৱেজ এ তাহলে অবশ্যই ফার্স্ট ফ্লোরের হাব্বা খাতুন ভিউ রুমটাই বুক করবেন - ঐটাই বেস্ট ভিউ এন্ড বেস্ট রুম।
- গুৱেজ পৌঁছাতে পৌঁছাতে আপনার বিকেল হয়ে যাবে। কিন্তু গুরেজে সন্ধে বেশ দেরিতে নামে, তাই সামান্য বিশ্রাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন আসে পাশের এক দুটো জায়গা কভার করার জন্যে - যেমন কেন্দ্যাল টপ, ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড ইত্যাদি। বা যদি ইচ্ছে করে পায়ে হেঁটে আসে পাশে ঘুরে বেড়ান।
- গুরেজে আপনি ডিনার আর ব্রেকফাস্ট তা ইনক্লুড করে নেবেন প্যাকেজ এ। কারণ যদি মার্কেটের কাছে না থাকেন তাহলে কিন্তু এখানে কোনো রেস্টুরেন্ট আলাদা করে পাবেন না, তাই যে হোটেল এ থাকছেন সেখানেই ডিনার বলে রাখুন।
- যদি মার্কেটের কাছে থাকেন তাহলে লগ হাট ক্যাফে আছে, খাবারের মান বেশ ভাল, ওখানে গিয়ে খেতে পারেন।
- মনে রাখবেন এসবই সীমান্তবর্তী গ্রাম ।, তাই এখানে শহরের মতো হই হট্টগোল, চাক চমক একেবারেই পাবেন না। নির্ভেজাল প্রকৃতি উপভোগ করার মন নিয়ে যাবেন তাহলে নিরাশ হবেন না।
0 comments